SIR 2025 : ২০০২-এর তালিকায় নাম নেই, শুনানির নোটিশে ‘আতঙ্কিত’ অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্মীর মর্মান্তিক পরিণতি ! - Newz Bangla

Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking !

latest

SIR 2025 : ২০০২-এর তালিকায় নাম নেই, শুনানির নোটিশে ‘আতঙ্কিত’ অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্মীর মর্মান্তিক পরিণতি !

নিউজবাংলা,রামনগর:ভোটারতালিকায়নামনেই, তাইডাকপড়েছিলশুনানিরজন্য।আরসেই ‘নথি-যুদ্ধে’রউদ্বেগেরকাছেহারমানলেনএকঅবসরপ্রাপ্তকেন্দ্রীয়সরকারিকর্মী।মঙ্গলবারসকালেপূর্বমেদিনীপুরেররামনগরের (SIR 2026)সাদিগ্রামেরবাসিন্দাবিমলশী (৭৫)-রঝুলন্তদেহউদ্ধা…



 নিউজবাংলা, রামনগর: ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাই ডাক পড়েছিল শুনানির জন্য। আর সেইনথি-যুদ্ধে উদ্বেগের কাছে হার মানলেন এক অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের (SIR 2026) সাদি গ্রামের বাসিন্দা বিমল শী (৭৫)- ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁরই বাড়ির চিলেকোঠা থেকে। পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় সম্প্রতি একটি শুনানির নোটিশ পান তিনি। তারপর থেকেই চরম আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধ। সেই আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে আত্মহননের পথে ঠেলে দিল বলে পরিবারের দাবী।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমলবাবু দীর্ঘ সময় কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন। সেই কারণে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ওঠেনি। কাজ থেকে অবসর নিয়ে পাকাপাকি ভাবে রামনগরের বাড়িতে ফিরে আসার পর তিনি প্রথমবার ভোটার তালিকায় নাম তোলেন। তারপর থেকে নিয়মিত ভোটও দিয়েছেন। এবার তিনিএসআইআর’ (SIR) ফর্মও পূরণ করেছিলেন। কিন্তু পুরনো নথির গরমিল থাকায় গত চার দিন আগে তাঁর কাছে শুনানির নোটিশ আসে।

মৃতের পরিবার জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারি বিমলবাবুর শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। তাঁর ছেলে দীপক শী বলেন, “বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ছিলেন। চার দিন আগে নোটিশ আসার পর থেকেই তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছিলেন। হন্যে হয়ে বাড়ির কাগজ-সে কাগজ খুঁজতেন। প্রয়োজনীয় সব নথি বাড়িতেই ছিল, কিন্তু বাবার আতঙ্ক কিছুতেই কাটছিল না। ভোরবেলা উঠে দেখি চিলেকোঠায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ।

বিমলবাবুর প্রতিবেশী গৌরশঙ্কর শী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বিমলবাবু তাঁর দোকানে খেলা দেখতে এসেছিলেন। যাওয়ার সময় নাতির জন্য কেকও কিনে নিয়ে যান। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে তিনি এতটা বিপর্যস্ত ছিলেন, তা কেউ বুঝতে পারেনি। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বিছানায় স্বামীকে না দেখে খুঁজতে শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। চিলেকোঠার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। দরজা ভাঙতেই দেখা যায় সব শেষ।

খবর পেয়ে রামনগর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। একজন প্রাক্তন সরকারি কর্মীর এই মর্মান্তিক পরিণতিতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

No comments