নিউজবাংলা, তমলুক : এক গায়িকাকে হেনস্থার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক, অন্য দিকে এক পুলিশ আধিকারিকের ‘অপ্রীতিকর’ ভিডিও ভাইরাল হওয়া— জোড়া বিতর্কে অস্বস্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দুই পুলিশ আধিকারিকে…
নিউজবাংলা, তমলুক : এক গায়িকাকে হেনস্থার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক, অন্য দিকে এক পুলিশ আধিকারিকের ‘অপ্রীতিকর’ ভিডিও ভাইরাল হওয়া— জোড়া বিতর্কে অস্বস্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই এবার কড়া অবস্থান নিল জেলা প্রশাসন। ভগবানপুর থানার ওসি শাহেনশাহ হক এবং নন্দীগ্রাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর লুৎফার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মিথুন কুমার দে।
ঘটনার সূত্রপাত ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে ‘সেকুলার গান’ গাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়
অভিযোগ ওঠে, ভগবানপুর থানার ওসি শাহেনশাহ হক সেই সময় অভিযোগ নিতে গড়িমশি করেন এবং মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। গায়িকা নিজে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার পর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন।
পুলিশ সুপার মিথুন কুমার দে জানিয়েছেন, “দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এসডিপিও পদমর্যাদার অফিসাররা এই তদন্ত করছেন। লগ্নজিতা চক্রবর্তীর হেনস্থার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। পাশাপাশি ওসির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অন্য দিকে, নন্দীগ্রাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর লুৎফার হোসেনের বেশ কিছু ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যা পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে মনে করছে জেলা পুলিশের শীর্ষ মহল।
জেলা পুলিশ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কর্তব্যে গাফিলতি বা নৈতিক স্খলন— কোনও কিছুকেই বরদাস্ত করা হবে না। এসডিপিও-র জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

No comments