Purba Medinipur : ভোটের আগে তুরুপের তাস ‘পথশ্রী-৪’: হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রাম, ৫০০ কোটি ব্যায়ে চওড়া হচ্ছে জেলার ৮৭৬ কিমি রাস্তা । - Newz Bangla

Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking !

latest

Purba Medinipur : ভোটের আগে তুরুপের তাস ‘পথশ্রী-৪’: হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রাম, ৫০০ কোটি ব্যায়ে চওড়া হচ্ছে জেলার ৮৭৬ কিমি রাস্তা ।

তমলুক: বিধানসভা ভোটের দামামা বাজার আগেই গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিনের লাল মাটির রাস্তার ধুলো উড়িয়ে এবার জেলাজুড়ে তৈরি হবে চকচকে ঢালাই ও পিচের রাস্তা। বৃহস্পতি…

 


তমলুক: বিধানসভা ভোটের দামামা বাজার আগেই গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিনের লাল মাটির রাস্তার ধুলো উড়িয়ে এবার জেলাজুড়ে তৈরি হবে চকচকে ঢালাই ও পিচের রাস্তা। বৃহস্পতিবার নদিয়া থেকে ভার্চুয়ালি ‘রাস্তাশ্রী-পথশ্রী ৪’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই প্রকল্পের আওতায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক বিশাল অঙ্কের অর্থ।

প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৫১৬.২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৭৬.৩২ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি ও সংস্কার করা হবে। জেলার মোট ৫২৪টি গ্রামীণ রাস্তাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তমলুকে জেলা পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলায় এই কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

এদিন জেলাশাসক ইউনিন ঋষিন ইসমাইল জানান, “জেলার জন্য নির্ধারিত ৫২৪টি রাস্তার মধ্যে আজই ৬০টি রাস্তার কাজের সূচনা হলো। বাকি রাস্তাগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রশাসনের এই তৎপরতা দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই কাজের সিংহভাগ এগিয়ে রাখতে চাইছে সরকার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “গ্রামের মানুষের প্রধান দাবিই থাকে ভালো রাস্তা। আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী সেই কষ্ট অনুভব করেই এই বিশাল প্রকল্পের সূচনা করেছেন।” অন্যদিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক সরাসরি কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মানুষের টাকা আটকে রেখে বঞ্চনা করছে। কিন্তু দিদি দমে যাওয়ার পাত্রী নন। রাজ্যের নিজস্ব কোষাগার থেকেই আজ এই উন্নয়নের জোয়ার বইছে।”

এদিনের জেলাস্তরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চণ্ডীপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, মহিষাদলের তিলক চক্রবর্তী এবং নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।

​নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই এখন প্রধান অস্ত্র করছে ঘাসফুল শিবির। এখন দেখার, ৫০০ কোটির এই উন্নয়ন-যজ্ঞ সাধারণ মানুষের মনের রাস্তা কতটা মসৃণ করতে পারে।

No comments