নিউজ বাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ৩৪ বছর পার হয়ে গেল। অবশেষে আমূল বদলে যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি। বুধবার মিলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অনুমোদন। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।কি থ…
নিউজ বাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ৩৪ বছর পার হয়ে গেল। অবশেষে আমূল বদলে যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি। বুধবার মিলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার অনুমোদন। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
কি থাকছে এই নয়া শিক্ষানীতিতে ? নয়া শিক্ষা ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাস্টার ডিগ্রীর পর আর এমফিল করতে হচ্ছে না। পরিবর্তে সরাসরি পিএইচডি করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। এছাড়াও স্নাতকের পাশকোর্স হচ্ছে ৩ বছরের, অনার্স ৪ বছর আর স্নাতকোত্তর হচ্ছে ১ বছরের।
এখন থেকে একটি সংস্থার হাতেই থাকছে উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রণ। ১৫ বছরের স্কুলশিক্ষাকে ভাগ করা হয়েছে চারটি ভাগে(৫+৩+৩+৪)৷ এখন থেকে ১২ বছর স্কুলের পঠনপাঠন৷ ৩ বছরের প্রাইমারি- অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষা৷
ক্লাস ওয়ান ও টু-কে রাখা হচ্ছে প্রি-প্রাইমারির মধ্যে। সূত্রের খবর, ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভ - আটটি সেমিস্টারে পড়াশোনা চলবে। ৪ বছরের মধ্যে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে কোনো স্ট্রিম থাকছেনা।
এবার থেকে স্নাতক কোর্সের সময়সীমা তিনবছরের পরিবর্তে হতে চলেছে ৪ বছরের। স্নাতকোত্তর কোর্সের ক্ষেত্রে ১ বছর এবং ২ বছরের কোর্স থাকবে। পাশাপাশি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স দুটি একসাথে পড়তে ৫ বছরের ইন্টিগ্রেটেড কোর্স চালু করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় একটিই নিয়ামক সংস্থা, থাকছে একাধিক এন্ট্রি-এগজিট পদ্ধতি৷
যদি কোনো পড়ুয়া বিশেষ কারণবশতঃ পড়াশুনা ছেড়ে বেরিয়ে আসে সে পুনরায় সেই জায়গা থেকে যেকোনো সময়ে পড়াশুনা শুরু করতে পারে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে একাধিকবার কোর্স ভেঙে পড়ার সুযোগ থাকছে।
নতুন শিক্ষানীতিতে বিষয় বাছার ক্ষেত্রেও ঘটেছে পরিবর্তন। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণধর্মী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দিতে চাইছে সরকার ৷ অর্থাৎ ডিগ্রির পর পড়ুয়াদের শিক্ষা অনুযায়ী জীবিকা পেতে যাতে কোনও অসুবিধে না হয়৷ সেইসাথে উচ্চ মাধ্যমিকে আর্টস এবং বিজ্ঞান বিভাগের তফাৎ উঠে গেল এই নয়া নীতিতে।
ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত কোর্সের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা। কোনো পড়ুয়া যদি মাঝপথে কোর্স অসম্পূর্ণ করে পড়া ছেড়ে দেয় তার বর্তমান শিক্ষার মানের উপর মূল্যায়ন করেই দেওয়া হবে সার্টিফিকেট, ডিগ্রি। যেমন একবছর বাদে সার্টিফিকেট, দুবছর বাদে ডিপ্লোমা, তিনবছরের পর ডিগ্রি সার্টিফিকেট, চারবছরের পর পুরো ডিগ্রি পাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেড়কর ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-কে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা ৷ গত ৩৪ বছর ধরে দেশের এডুকেশন পলিসির কোনও সংস্করণ করা হয়নি৷ একবিংশ শতকের পড়ুয়াদের জন্য একান্ত উপযোগী এই নয়া শিক্ষানীতি বলে দাবী কেন্দ্র সরকারের।
#newzbangla
#Educational #IndianEducation #bengalinews #নিউজবাংলা #newsbangla
No comments