NewzBangla Desk : চারিদিকশুনশান।কাঁটাতারপেরোনোরতোড়জোড়।ব্যাগেরমধ্যেগোটাসংসারপুরেভারতছাড়ারপালা।আতঙ্কেরনাম— (SIR)।পশ্চিমবঙ্গে SIR-এরফর্মজমাদেওয়ারসময়সীমাশেষহতেনাহতেইউত্তর২৪পরগনারসীমান্তগুলিতেএখনশুধুইঅনুপ্রবেশকারীদেরবাংলাদেশেফিরেযাওয়া…
NewzBangla Desk : চারিদিক শুনশান। কাঁটাতার পেরোনোর তোড়জোড়। ব্যাগের মধ্যে গোটা সংসার পুরে ভারত ছাড়ার পালা। আতঙ্কের নাম— (SIR)। পশ্চিমবঙ্গে SIR-এর ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হতে না হতেই উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তগুলিতে এখন শুধুই অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ছবি। এক মাস আগে এই প্রক্রিয়া শুরুর পর যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার ফর্ম জমার শেষ দিনেও স্বরূপনগরের পরিস্থিতি বদলাল না। হাকিমপুর সীমান্তে ধরা পড়ল তেমনই কিছু চাঞ্চল্যকর চিত্র।
অনুপ্রবেশকারীদের এই প্রত্যাবর্তনের ভিড়ে
উঠে আসছে রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহারের মারাত্মক তথ্য। এর আগে স্বরূপনগর
সীমান্তেই এক বাংলাদেশি মহিলা
রোকেয়া বিবি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন যে তিনি 'লক্ষ্মীর
ভাণ্ডার' প্রকল্পের টাকা তুলেছেন। কতদিন ধরে সুবিধা নিচ্ছেন? রোকেয়ার সোজাসাপটা উত্তর ছিল— "তিন থেকে চার বছর ধরে পাচ্ছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। 'দুয়ারে সরকার'-এর ওখানে গিয়ে
করে দিল।" SIR-এর ডামাডোলে তিনিও
কি তবে মালপত্র গুছিয়ে চম্পট দিলেন?
একই
ভাবে, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ থেকে আসা আনোয়ারা বিবি শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, এ দেশে এসে
রীতিমতো ভোটও দিয়েছেন। তাঁর দাবি,
"দুই-তিন বার দেওয়া হয়েছে ভোট।" স্বরূপনগরে অপেক্ষারত আল আমিন মোল্লা আবার জানিয়েছেন, তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর আধার কার্ডও ছিল, যা তাঁরা ফিরে
আসার সময় নিউটাউনে ফেলে এসেছেন।
সীমান্তে দেখা গেল, বাংলাদেশের বাসিন্দা সামাদ গাজি এসেছিলেন তিন-চার বছর আগে। "আগে নোংরা কুড়োতাম, তারপর কাঁটাতার টপকে ভারতে ঢুকি,"— বলছেন সামাদ। চেকপোস্টে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মহম্মদ মইদুল শেখ। তিন বছর
পর দেশে ফিরতে মরিয়া তিনি। মইদুল জানান, "এমনি ভাঙাচোরার কাজ করতাম, গর্ত খুঁড়তাম, মাটি কাটতাম। মাঝের দিকে ধরপাকড় হল। বাবাকে ধরে পাঠিয়ে দিল। এখন আমি তো একা পড়ে
গেছি, আমি কী করব এখানে,
তাই আমিও চলে যাচ্ছি।"
এক
মাস আট দিন ধরে
চলা SIR-এর ফর্ম জমা
দেওয়ার কাজ শেষ হওয়ার পরদিনই স্বরূপনগরে এই ছবিটি স্পষ্ট
হয়ে গেল— আতঙ্কের আবহেই অনুপ্রবেশকারীরা ব্যাগ গুছিয়ে নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা আধার কার্ড,
কোনও কিছুই তাঁদের এই বিপুল প্রত্যাবর্তনের
পথে বাধা হতে পারল না।
n সংবাদ সূত্র – এবিপি আনন্দ
#LakshmiBhandar #BangladeshiFled #NewzBangla #BengalSIR

No comments