নিউজবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর অবশেষে মিলল স্বস্তি। স্কুল শিক্ষিকার চাকরীতে যোগ দিয়েও কোনও এক অজ্ঞাত কাতনে দীর্ঘ কয়েকটা দশক মেলেনি সরকারী অনুমোদন। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরীতে সরকারী স্বীকৃতি পেলেন দুই শিক্ষ…
নিউজবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর অবশেষে মিলল স্বস্তি। স্কুল শিক্ষিকার চাকরীতে যোগ দিয়েও কোনও এক অজ্ঞাত কাতনে দীর্ঘ কয়েকটা দশক মেলেনি সরকারী অনুমোদন। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরীতে সরকারী স্বীকৃতি পেলেন দুই শিক্ষিকা সহ একজন ক্লার্ক। এঁরা প্রত্যেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসুদেবপুর কন্যা মিলন বিদ্যাভবনে কর্মরত বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, এই স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে ১৯৮৪ সালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন জয়ন্তী
রায় দন্ডপাট। ১৯৮৫ সালে শিক্ষকতায় যোগ দেন কল্পনা মাইতি। এবং ১৯৮৮ সালে ক্লার্ক হিসেবে
কাজে যোগ দেন অলকেশ দন্ডপাট। কিন্তু এই তিনজনই অজ্ঞাত কারনে চাকরীর সরকারী স্বীকৃতি
পাননি। সেই থেকেই শুরু হয় লড়াই। ২০০৪ সালে এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ্য হন তিনজন। আদালতও
আবেদনকারীদের পক্ষ্যে একাধিকবার রায় দিলেও সেই রায় কিছুতেই কার্যকর হয়নি।
অবশেষে আবেদনকারীরা বাধ্য হয়েই আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে পুনরায় কলকাতা
হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হয়। রাজ্যের তরফে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালে তা খারিজ
হয়ে যায়। বিচারপতি নির্দেশ দেন অবিলম্বে মামলাকারীদের চাকরীকে পাকা করে নিয়োগের দিন থেকে যাবতীয় প্রাপ্য সুবিধা মিটিয়ে দিতে হবে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সময় পূর্ব মেদিনীপুর সেকেন্ডারি
এডুকেশান জেলা স্কুল পরিদর্শকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নথি আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই
কমিশনার অব স্কুল এডুকেশানকে জানানো হয়েছে আদালতের নির্দেশ মতো এই ৩ জনের চাকরীর অনুমোদন
করা হয়েছে।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp
No comments