নিউজবাংলা ডেস্ক : দেবোত্তর সম্পত্তি ফিরে পেতে ল্যান্ড ট্রাইবুনালে মামলা করায় দাসপুর নাড়াজোল গ্রামের এক পরিবারকে বয়কট করার অভিযোগ উঠল। গ্রাম পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে বলা হয়েছে, মোহিনী চক্…
ছবি - প্রতীকী |
নিউজবাংলা ডেস্ক : দেবোত্তর সম্পত্তি ফিরে পেতে ল্যান্ড ট্রাইবুনালে মামলা
করায় দাসপুর নাড়াজোল গ্রামের এক পরিবারকে বয়কট করার অভিযোগ উঠল। গ্রাম পরিচালন কমিটির
পক্ষ থেকে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে বলা হয়েছে, মোহিনী চক্রবর্তীর পরিবারের
সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়। ঘাটালের এসডিপিও অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন,
পুলিসের কাছে ওই বয়কট নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এরকম একটি পোস্টার দেওয়ার ঘটনা
শুনেছি। পুলিস বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
প্রসঙ্গতঃ একসময় নাড়াজোলের রাজ পরিবার মোহিনীবাবুর পূর্বপুরুষদের শীতলা
মন্দিরের জন্য একটি জায়গা দেয়। মোহিনীবাবু বলেন, আমরা সেই জায়গার উপর মন্দির করে
বংশপরম্পরায় পুজো করে আসছি। ১৯৬২সালের রেকর্ডেও তা উল্লেখ ছিল। তারপর চুপিসারে গ্রামের
বাসিন্দারা প্রভাব খাটিয়ে সেই জায়গা গ্রামের নামে রেকর্ড করে নেয়। তা আমরা জানতাম
না।
২০১০ সালে পুরনো মন্দিরটি ভেঙে নতুন মন্দির করতে গেলে গ্রামের বাসিন্দারা
বাধা দেন। জায়গাটি গ্রাম কমিটির নামে রয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন। তখন ঘাটাল আদালতে
মামলা করি। সম্প্রতি সল্টলেকে রাজ্য ভূমি সংস্কার ও ভাড়াটে ট্রাইবুনালে মামলা করতেই
গ্রামবাসীরা চটে যান। শনিবার থেকে গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দিয়ে আমাদের বয়কটের
ফরমান জারি করা হয়েছে।
মোহিনীবাবুর দাবী, আমাদের বাড়ির কাজের লোক আসাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীদের এই বিরোধিতায় আমাদের একটি ব্যবসা বন্ধের মুখে। যদিও গ্রাম কমিটির কর্মকর্তা
শঙ্করপ্রসাদ মাইতি, অলোক জানা, কার্তিক দাস প্রমুখদের দাবী, ওই জায়গার রেকর্ড গ্রাম
কমিটির নামে রয়েছে। চক্রবর্তীরা জোর করে গ্রামের মানুষকে হেনস্তা করছে। মামলা করে
গ্রামের টাকা খরচ করাচ্ছে। এটা গ্রামের মানুষ মেনে নিতে পারেননি। তবে আমরা কাউকে বয়কট
করিনি। পোস্টারও দিইনি।
সংবাদ সূত্র – বর্তমান পত্রিকা
No comments