নিউজবাংলা ডেস্ক : জমির খাজনা দিতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না ঘন্টার পর ঘন্টা। এবার থেকে অনলাইনেই জমির খাজনা দেওয়া যাবে এই রাজ্যে। সূত্রের খবর, সামনের মাস থেকেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবার সিকিউরিটি অডিটের কাজ শেষ…
নিউজবাংলা ডেস্ক : জমির খাজনা দিতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না ঘন্টার পর ঘন্টা।
এবার থেকে অনলাইনেই জমির খাজনা দেওয়া যাবে এই রাজ্যে। সূত্রের খবর, সামনের মাস থেকেই
এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবার সিকিউরিটি অডিটের কাজ শেষ হয়ে বলে
খবর। এই পরিষেবা বাংলা নববর্ষে রাজ্যবাসীর জন্য উপহার বলেই দাবী সংশ্লিষ্ট মহলের।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই পরিষেবার উদ্বোধন
করবেন। পরিষেবাটি চালু হলে ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালে লগ-ইন করে সিটিজেন সার্ভিসে গিয়ে
এক ক্লিকেই খাজনার টাকা জমা দেওয়া যাবে। কত টাকা খাজনা বাবদ জমা করতে হবে তা জানার
জন্য আপনাকে যেতে হবে পাবলিক রেজিস্ট্রেশন ফর্মে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর দেওয়ার
পর দিতে হবে জমির মৌজা, দাগ ও খতিয়ান নম্বর।
সঙ্গে সঙ্গেই কোন জমির কত খাজনা তা ফুটে উঠবে কম্পিউটারের স্ক্রিনে। অনলাইনে
টাকা জমা দিলে রসিদও মিলে যাবে। খাজনার সম্পূর্ণ হিসেব জানতে চাইলেও এক ক্লিকে তা জানা
যাবে। তবে একই সঙ্গে যারা কম্পিউটারে এই পরিষেবা নিতে অপারগ তাদের জন্য সরাসরি ব্লক
ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসে গিয়েও খাজনা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। এক্ষেত্রে উপভোক্তার
মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে রসিদ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে বাংলার ভূমি’র মোবাইল অ্যাপেও এই পরিষেবা চালু
করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গতঃ প্রতি বছর শুধুমাত্র খাজনা বাবদ রাজ্যের আয় হয় প্রায়
২ হাজার কোটি টাকা। অনলাইন পরিষেবা চালু হয়ে গেলে রাজ্যের হাতে খাজনা সংক্রান্ত সামগ্রিক
তথ্য ভান্ডার সহজেই চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp
No comments