কোলাঘাট, পূর্ব মেদিনীপুর : তৃণমূলের পদাধিকারী হয়েও সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তথা শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। এর জেরেই পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। সোমবার চাপা উত্তেজনার মধ্যেই সেই অনাস্থায় বিপুল ভোটে জিতে গেল ক্ষমতাসীন দল।
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, সোমবার দুটি অনাস্থাতেই ৩২-০ ভোটে অনাস্থায় জয় হয়েছে তৃণমূলের। এই অনাস্থা ঘিরে উত্তেজনার মাঝে পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। নানান জল্পনা চললেও শেষ পর্যন্ত অনাস্থার ভোটাভুটিতে অংশ নেন এখানকার ৩২ জন তৃণমূলের সদস্য।
প্রথম দফায় অনাস্থার বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন কুমার ঘড়া'র বিরুদ্ধে। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট সদস্য ৩৮ জন। এর মধ্যে এদিন ৩২ জন শাসক দলের সদস্যই সভাপতির বিরুদ্ধে ভোট দেন, এবং ৩২-০ ভোটে পরাজিত হন সভাপতি। যদিও ভোটাভুটির সময় তিনি গরহাজির ছিলেন।
এরপর বেলা ২টোর পর সহ সভাপতি রাজু কুন্ডু'র অনুপস্থিতিতেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। সেখানেও
কাঙ্খিত ভাবেই ৩২-০ ভোটে জয়ী হয় শাসক দল। এরপর প্রথা মেনে নতুন করে সভাপতি ও সহ সভাপতি
নির্বাচন হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্বরা জানিয়েছেন। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সুরজিৎ মান্না। যদিও দল এই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী, ক্ষমতার অলিন্দে এসে গত কয়েক বছরে এলাকায় বিপুল প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন এই দুই নেতা। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা তৃণমূলের বিরোধীতা করলেও জনগনের সমর্থন নিয়ে ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব রায় চৌধুরী। তারপর থেকেই এই দুই নেতার ডানা ছাঁটা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। অবশেষে সোমবার সেই কাজ সম্পন্ন হল বলেই দাবী তৃণমূলের।
No comments