নিউজবাংলা ডেস্ক : সুযোগ ছিল অন্য কোনও বিলাসবহুল জায়গায় ঠাঁই নেওয়ার। সুযোগ ছিল হেলায় সব ছেড়ে পশ্চিমী কোনও দেশে নাগরিকত্ব নেওয়ার। কিন্তু তিনি ভারতরত্ন বিসমিল্লা খান, ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একদিন রাগ মঙ্গলধ্বনি রচনা করেছিলেন, তিনি নিজের ভিটেমাটিটুকুকেই একান্ত আপন বলে জানতেন।
আজ সেই ভিটেই ভেঙে গুড়িয় দেওয়া হল। ভেঙে দেওয়া বাড়ির একাংশের মধ্যে রয়েছে বিসমিল্লার রেওয়াজের ঘরও। অভিযোগ, প্রয়াত কিংবদন্তি সানাইবাদক বিসমিল্লা খানের বাড়ির এই ভাঙা অশে তাঁর আত্মীয়রাই শপিং মল বানাতে চায়।
ওস্তাদ বিসমিল্লা খান প্রয়াত হন ২০০৬ সালের ২১শে আগষ্ট। দেশজো়ড়া বিসমিল্লা ভক্তরা চেয়েছিলেন, সানাইবাদকের স্মৃতি বিজরিত এই বাড়ি মিউজিয়াম হোক। হেরিটেজ তকমা পাক বিসমিল্লার ভিটে। কিন্তু ওই চাওয়াটুকুই সার, এগিয়ে আসেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার বা কেন্দ্র। গত ১২ অগাস্ট সেই স্বপ্নটুকুরও মৃত্যু হল। অক্লেশেই ভাঙা হল বিসমিল্লার রেওয়াজ ঘর।
১৯৩৬ সালে এই ঘরটিতে এসে ওঠেন বিসমিল্লা খান। শুধু বিসমিল্লাই নয়, তিনি এ বাড়িতে আসার আগে থাকতেন ওস্তাদ রেহমত খাঁ সাহেবও। গত ১২ অগাস্ট এই স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির অংশবিশেষ ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হাত কাঁপেনি কারও। বাধা আসেনি পুলিশ প্রশাসনের তরফেও।
গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত বিসমিল্লার পালিতা কন্যা সোমা ঘোষ। তিনি বলছিলেন, "ওটা তো শুধু একটা ঘর নয়, আবিশ্ব সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে একটা পুজোর জায়গা।আমি আবেদন জানিয়েছি এই ঐতিহ্যবাহী ঘরর সমস্ত সরঞ্জাম সংরক্ষণের জন্য অনুমতি দিতে।"
এই বাড়িটির মালিকানা বর্তমানে বিসমিল্লা পুত্র মেহতাব হোসেনের পাঁচ সন্তানের। বিসমিল্লার কনিষ্ঠ পুত্র নাজিম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি গোটা ঘটনা জানতে পেরেছি, ২৪ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশ ফিরব, তখন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।"
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট বিসমিল্লা খান লালকেল্লা থেকে সানাই বাজিয়েছিলেন। তাঁর দীর্ঘ সঙ্গীতজীবনের অনুরাগীর সংখ্যা কম ছিল না।কিন্তু তাদের কেউই হাদহা সরাইয়ের ভিক্ষমশাহ লেনের বাড়িটি বাঁচাতে পারেনি।
অনেকে অবশ্য বলছেন এতে অবাক
হওয়ারও কিছু নেই। কারণ বিসমিল্লার মূল্য বুঝতে পারেনি পরিবার, বোঝেনি ক্ষমতাসীন
সরকারও। একথা আগেও প্রমাণিত। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে বিসমিল্লার চারটি
মহামূল্যবান সানাই বিক্রি করে দেন বিসমিল্লার নাতি। এর মধ্যে তিনটি সানাই ছিল
রুপোর তৈরি।
#newzbangla
#BengaliNews #UstadBismillahKhan #নিউজবাংলা #Newsbangla #BengalUpdate #SanaiBadak #
No comments