নিউজ বাংলা, দুর্গাপুর : একজন প্রাথমিক শিক্ষক শুধুমাত্র ছোট্ট শিশুদের শিক্ষার পাঠ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেন এমনটা নয়। সমাজের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতেও পিছপা হন না তিনি। এ রাজ্যের এমনই এক প্রাথমিক শিক্ষকের অসামান্য সাহসিকতা আর জীবন …
নিউজ বাংলা, দুর্গাপুর : একজন প্রাথমিক শিক্ষক শুধুমাত্র ছোট্ট শিশুদের শিক্ষার পাঠ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেন এমনটা নয়। সমাজের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতেও পিছপা হন না তিনি। এ রাজ্যের এমনই এক প্রাথমিক শিক্ষকের অসামান্য সাহসিকতা আর জীবন দর্শনের ঘটনায় গর্বিত গোটা শিক্ষক সমাজ।
তিনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা কাঁকসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চিরঞ্জিত ধীবর। বিপদ আছে জেনেও নিজেই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ডোজ প্রয়োগ করা হোক তার শরীরে। সময়মতো সেকারণেই ওড়িশায় পাড়ি দিয়েছিলেন। অবশেষে সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং গতকাল রাতেই সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন এই শিক্ষক।
ভুবনেশ্বরে কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের স্ক্রীনিং শুরু হয়েছিল গত ২২ জুলাই। আইসিএমআর অনুমোদিত নিকটবর্তী ট্রায়াল সেন্টার ভুবনেশ্বর হাসপাতালে গত ২৪ জুলাই পৌঁছে যান চিরঞ্জিত ধীবর। ২৭ জুলাই থেকে মানবদেহে ঝুঁকিপূর্ণ এই ট্রায়াল পদ্ধতি শুরু হয়।
মানবদেহে কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালের জন্য চিরঞ্জিতবাবু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উপযুক্ত কিনা সে বিষয়ে জানতে প্রায় ৫০ টি টেস্ট করা হয়। অবশেষে সেই রিপোর্ট গুলিতে সবুজ সংকেত এলে গত ২৯ জুলাই তার শরীরে এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়। প্রথম দফায় প্রথম ডোজের ১৪ দিনের মাথায় প্রথম দফার দ্বিতীয় ডোজ গত ১২ অগাস্ট তার শরীরে প্রয়োগ করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, ডোজের ৭ দিন এবং ১৪ দিনের মাথায় স্বেচ্ছাসেবকের শরীর থেকে ৫ মিলি. করে রক্ত নেওয়া হয় অ্যান্টিবডি টেস্ট করার জন্য। ২৬ অগাস্ট চিরঞ্জিতবাবুর রক্ত সংগ্রহের পর তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।
আপাতত তার শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলেই জানিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। যদিও ফের ১০৪ তম এবং ১৯৪ তম দিনে ফের ভুবনেশ্বর হাসপাতালে যেতে হবে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
#NewzBangla #BengaliNews #FightAgainstCovid19 #NewsUpdate #নিউজবাংলা #LatestUpdate #Covid19 #CovaccineTrial
No comments