নিউজবাংলা ডেস্ক : গুরগাঁওয়ের ব্যস্ততম রাস্তাগুলির মধ্যে একটি হল ইফকো চৌক। বৃহস্পতিবার সেই রাস্তার একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে ওই অঞ্চলে। তার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রাস্তার ভেঙে পড়া অংশটি কর্ডন করে ফেলা হয়েছে। বৃষ্টির জল জমে শহরের বেশিরভাগ রাস্তাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তার ফলে দেখা গিয়েছে বিরাট জ্যাম। রাজধানী দিল্লি ও তার আশপাশে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার রাত থেকে।
বুধবারই শহরের অভিজাত গলফ কোর্স রোড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কয়েকটি অঞ্চলে বুক পর্যন্ত জল জমে যায়। মিলেনিয়াম সিটিতে নৌকো চলতে থাকে। তার ভিস্যুয়াল ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বৃহস্পতিবার সকালেও গুরগাঁওতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়েতে জমেছে জল। আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি, দাদরি, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, বল্লভগড়, ফরিদাবাদ, গুরগাঁও, মানেসর, সোহনা, মোদীনগর, পিলাখুয়া, বুলন্দশহর ও সিকান্দ্রাবাদে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
আরব সাগর থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ও বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমী বায়ু জলীয় বাষ্প বয়ে আনছে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশে। তা থেকেই হচ্ছে বৃষ্টিপাত। গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায়।
মঙ্গলবার ভারী বর্ষণ হয়েছে
রাজধানী শহর এবং আশেপাশের এলাকায়। আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েকদিন উত্তর
ভারতের অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পূর্ব ভারতের
রাজ্যগুলিতেও।
মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হয়েছিল দিল্লিতে। রাস্তাঘাটে জল জমে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। আইএমডি প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মূলত পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছিল।
তবে বুধবার সকাল থেকে রাজধানী শহরের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার মূলত দ্বারকা, জনকপুরী, পালাম, উত্তম নগর, রাজৌরি গার্ডেন এবং তিলক নগর এলাকায় বৃষ্টি হয়েছিল। গত সপ্তাহে বড় ধরনের দুর্যোগের কবলে পড়ে উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জেলা।
#Gurugram: Boat on street in Gurgram. Sohna road people run boat on wednesday. pic.twitter.com/WvR9bDd2ON
— Gaurav chaudhary (@gaurav5155) August 19, 2020
প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায় গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চিন সীমান্তের কয়েকটি অঞ্চল। গঙ্গা বইতে থাকে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার অপর দিয়ে। গঙ্গার শাখানদী হেনওয়ালের জলস্তরও বেড়ে যায়। নদীর ধারে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
সারদা নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় চামপাওয়াত জেলায় সারদা বাঁধেও বেড়ে যায় জল। ব্যারেজ ম্যানেজমেন্ট দফতরের এক অফিসার বলেন, “আমরা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছি। নদীর জল যেভাবে বেড়েছে তাতে উত্তরাখণ্ডের দু’টি ও উত্তরপ্রদেশের ১০ টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে।”
#newzbangla #BengaliNews #NationalNews #নিউজবাংলা #Newsbangla #BengalUpdate #DelhiNews
No comments