নিউজ বাংলা ডেস্ক : করোনা রুখতে মাস্ক যে অপরিহার্য বস্তু তা বারেবারে বলা হয়েছে। একমাত্র এই মাস্কেই সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমবে তাই এই মাস্কের ব্যবহার সর্বত্র প্রয়োজনীয়। তড়িৎ বিজ্ঞানের তত্ত্বকে কাজে লাগিয়েই ভাইরাস নিধনকারী মাস্ক …
নিউজ বাংলা ডেস্ক : করোনা রুখতে মাস্ক যে অপরিহার্য বস্তু তা বারেবারে বলা হয়েছে। একমাত্র এই মাস্কেই সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই কমবে তাই এই মাস্কের ব্যবহার সর্বত্র প্রয়োজনীয়। তড়িৎ বিজ্ঞানের তত্ত্বকে কাজে লাগিয়েই ভাইরাস নিধনকারী মাস্ক তৈরীর নজির যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের।
জানা গেছে, মাস্ক তৈরির উপাদান ট্রাইবো ইলেকট্রিক মেটেরিয়াল। সেই সঙ্গে থাকছে ইলেক্ট্রিক্যাল সকেট। এই দুই উপাদানে তৈরী হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক মাস্ক। উত্তর দমদম পুরসভার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী মিলেই এই মাস্ক তৈরীর কাজ করছেন।
এরমধ্যে বেশ কয়েকটি যাবে আইসিএমআরের কাছে। সেই প্রস্তুতি সারছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সট্রুমেন্টেশন ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এই মডেলের ধারণা পাঠানো হয়েছে আমেরিকাতেও।
সবচেয়ে বড় খবর, বাজারে এই মাস্ক পৌঁছলে তার দাম ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে পড়বে। এই মাস্ক সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফ বলেই জানান গবেষকরা। এই ইলেক্ট্রনিক মাস্ক কাজ করবে মশা নিধনকারী ইলেকট্রিক ব্যাটের মত। সেক্ষেত্রে মাস্কে সেই পরিমান ভোল্ট থাকবেনা।
নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে তৈরী হওয়া মেকানিক্যাল এনার্জিকে কাজে লাগিয়ে তৈরী হবে তড়িৎ। সেই তড়িৎ সকেটের মাধ্যমে চার্জিং ইউনিট স্টোরে পরিণত হবে আর এই ইউনিটের কাছে এলেই ভাইরাসের বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আড়াই মাস গবেষণার পর সাফল্য পেয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। অধ্যাপক বিপিন টুডু, অধ্যাপক রাজীব বন্দোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার জে কে কলেজের অধ্যাপক নিত্যানন্দ দাস এবং কয়েকজন রিসার্চ স্কলার এই গবেষণা করেন। গবেষকরা মনে করেন অন্যান্য মাস্কে ভাইরাসের সংক্রমণ আটকে যেত কিন্তু এই মাস্কেই ভাইরাস প্রতিহত করা সম্ভব। আইসিএমআর থেকে সবুজ সংকেত এলেই এই মাস্ক বাজারে চলে আসবে।
No comments