নিউজ বাংলা, কলকাতা : বাড়িতে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই এল স্বস্তির খবর। ৩৩ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে সাড়ে পঁচিশ লক্ষ গ্রাহকের বিলে মিলছে পরিত্…
নিউজ বাংলা, কলকাতা : বাড়িতে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই এল স্বস্তির খবর। ৩৩
লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে সাড়ে পঁচিশ লক্ষ গ্রাহকের বিলে মিলছে পরিত্রান। এপ্রিল এবং মে
মাসের বিল স্থগিত রেখে শুধু জুন মাসের বিল জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সিইএসসির তরফে।
রবিবার এই বিষয়ে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোষ্ট করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মানুষকে স্বস্তি দিয়ে সিইএসসি যে আপাতত জুন মাসের বিল নিচ্ছে তা জানিয়ে অভিষেকের মন্ত্যব্য, "কলকাতার জয়"।
মিটার রিডিং না নিয়েই যথেচ্ছভাবে বিল পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল সিইএসসির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে গ্রাহকদের অসুবিধে হোক এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হোক তা চায়না রাজ্য। নবান্নের তরফের সিইএসসি কে অ্যাডভাইজারি পাঠানোর পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর থেকে নোটিশ পাঠানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
বেসরকারি সংস্থার এই ইলেকট্রিক বিল নিয়ে কার্যত নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তালিকা থেকে বাদ যাননি অভিনেতা থেকে খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। দ্বিগুণ থেকে চার গুণ বেশি বিদ্যুতের বিল পৌঁছেছে গ্রাহকদের হাতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই লাগামছাড়া বিলের ছবি তুলে পোস্ট করে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে অভিনেতারা। সিএসসির দাবি, লকডাউন এর সময় মিটার রিডিং নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বছরে ব্যবহার করা ইলেকট্রিক বিলের গড় হিসেবে গত এপ্রিল এবং মে মাসে ইলেকট্রিক বিল গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল, যা অনেকটাই কম।
তারা আরও বলেন, গত জুন মাস থেকে ফের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এবং বাড়তি যা ইউনিট তা বিলে যোগ করা হয়েছে। একেই গ্রীষ্মকাল তার ওপর লকডাউন তাই বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে বলেই সিএসসির মত।
যদিও সেবিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানান, লকডাউন এর জেরে বন্ধ ছিল মিটার রিডিং নেওয়ার কাজ। ঠিকভাবে মিটার রিডিং না নিয়ে বাড়তি বিলের বোঝা চাপানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। সমস্ত দিক বিবেচনা করেই আগামী সোমবার সিইএসসি বেসরকারি সংস্থাকে নোটিশ পাঠাতে চলেছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর এমনটাই সূত্রের খবর।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন তার ওপর আমফান পরিস্থিতি কার্যত কর্মহীন করেছে কয়েক লক্ষ মানুষকে। তবে ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে সেরেছেন ২ সিইএসসি কর্তা। অবশেষে স্বস্তির খবর প্রকাশ্যে। তবে বকেয়া বিল বাতিল হবে নাকি নতুন কোনো বিল গ্রাহকদের পরে পাঠানো হবে তা স্পষ্ট নয়।
সাধারণ মানুষের দাবি, এর আগে এত গ্রীষ্মকালে সিএসসির থেকে এরকম কোন বিল তারা কোন বছরই পাননি। সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপাতে চাইছে সিইএসসি এমনটাই অভিযোগ। তবে এই সিদ্ধান্তে তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন এবং সরকারের পদক্ষেপকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ গ্রাহকেরা।
#NewzBangla #CESC #নিউজবাংলা #bengalinews #NewsUpdate #KolkataNewsUUpdate #CESCelectricbill #ElectricBill #KolkataElectricity
কেমন লাগছে আমাদের প্রতিবেদন, আপনার মন্তব্য জানান নীচের কমেন্ট বক্স-এ। আপনার মূল্যবান মন্তব্য ও পরামর্শ আমাদের চলার পথ সমৃদ্ধ করবে।
No comments