নিউজ বাংলা, নয়াদিল্লী:বিখ্যাত গায়ক নচিকেতার জীবনমুখি জনপ্রিয় একটি গানের লাইন "ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে, গ্রন্থকিদের দল বানায় নির্বোধ"-এর প্রাসঙ্গিতকতা কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে সাম্প্রতিক করোনা আবহের ধাক্কায়। গত কয়েক …
নিউজ বাংলা, নয়াদিল্লী : বিখ্যাত গায়ক নচিকেতার জীবনমুখি জনপ্রিয় একটি গানের লাইন "ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে, গ্রন্থকিদের দল বানায় নির্বোধ"-এর প্রাসঙ্গিতকতা কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে সাম্প্রতিক করোনা আবহের ধাক্কায়।
গত কয়েক মাস পিঠে ভারী ভারী বই খাতা নিয়ে স্কুলমুখো ছুটতে হচ্ছে না খুদে পড়ুয়াদের। করোনা সংক্রমণ যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে স্কুলের দরজা কবে খুলবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য তা হলফ করে বলতে পারছেন না কেউই।
পরিবর্তে সূচনা হয়েছে এক নতুন অধ্যায়ের। শুরু হয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশোনা, যার পোশাকি নাম ডিজিটাল লার্নিং বা ই-লার্নিং। বাড়িতে বসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের একত্রিত করে ভিডিও কনফারেন্স বা বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অতি সহজে উন্নতমানের পড়াশোনা শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে।
এই ই-লার্নিং যে ভবিষ্যতের চাবিকাঠি হতে চলেছে তা বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে একপ্রকার চূড়ান্ত। অনলাইন ক্লাসের মোক্ষম ট্রায়াল এই লকডাউনে সাফল্যের সঙ্গে পরিক্ষিত হয়েছে। কিন্তু এই যে ঘন্টার পর ঘন্টা অনলাইন ক্লাস কতটা স্বাস্থ্যের পক্ষে সুখকর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
করোনার কবলে গত ১৬ মার্চ থেকে তালা ঝুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে। কবে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের চেনা ছন্দে পঠনপাঠন শুরু হবে তা এখনও অজানা। পড়াশুনা চালিয়ে যেতে ভরসা তাই অনলাইন ক্লাস। কিন্তু সেখানে স্কুলের মত নিয়মিত ৬-৭ ঘন্টা ক্লাস করানোর কথা উঠে এসেছিল। পরিস্থিতি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের হিসেবে দেশে প্রায় ২৪ কোটি পড়ুয়া রয়েছে। তাদের দিকটি প্রাধান্য দিয়ে স্ক্রীনটাইম কমিয়ে আনার কথা ভেবে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাক প্রাথমিকের একটি সেশন ৩০ মিনিট করে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর দুটি সেশন ৪৫ মিনিট করে এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চারটি সেশন ৩০-৪৫ মিনিট করে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানান, করোনা কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিকে শিক্ষাদান এবং শিক্ষাগ্রহণের পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। যাতে বাড়ি এবং স্কুলের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মত শিক্ষাদান করা যায়। মূলতঃ পড়ুয়াদের কথা ভেবেই প্রাজ্ঞতা নামে নতুন গাইডলাইনে স্ক্রীনটাইম কমিয়ে আনার কথা বলেছে কেন্দ্র।
No comments