নিউজবাংলা ডেস্ক : প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ক্ষমতায় এলে কয়েকদিনেই বঞ্চিত PTTI-দের নিয়োগের দিয়েছিলেন। কিন্তু বছরের পর বছর গড়িয়ে চললেও রাজ্যের হাজার হাজার বঞ্চিত PTTI-দের নিয়োগের কোনও উদ্যোগই নেয়নি রাজ্য সরকার।
এছাড়াও এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা NCTE-এর নিয়ম মেনে প্রকৃত বেতন কাঠামো থেকে বঞ্চিত বলেই অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনটির। গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের যে বেতন কাঠামো তা এই রাজ্যের শিক্ষকরা পাচ্ছেন না। তাই এই বেতন বৈষম্য মেটানোর দাবীতেও আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে WBPTTA।
এছাড়াও এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা NCTE-এর নিয়ম মেনে প্রকৃত বেতন কাঠামো থেকে বঞ্চিত বলেই অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনটির। গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের যে বেতন কাঠামো তা এই রাজ্যের শিক্ষকরা পাচ্ছেন না। তাই এই বেতন বৈষম্য মেটানোর দাবীতেও আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে WBPTTA।
বারে বারে আলোচনা, আবেদনের পর এবার দুই গুরুত্বপূর্ণ দাবী নিয়ে রাজ্য জুড়ে বড়সড় আন্দোলনের পথে নামতে চলেছেন বঞ্চিত পিটিটিআই ও শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েষ্ট বেঙ্গল প্রাইমারী ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েসান। সংগঠনের সিদ্ধান্ত এবার রাজ্য জুড়ে এককাট্টা আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।
আর এই আন্দোলনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে, এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রী যেখানেই যাবেন সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাবেন বঞ্চিত PTTI-রা। এছাড়াও রাজ্যব্যাপী সমস্ত জেলায় পোষ্টারিং করা হবে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

তাতেও যদি রাজ্য সরকারের টনক না নড়ে তাহলে আগামী ১লা
এপ্রিল থেকে কলকাতায় লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সংগঠনটি। সংগঠনের মূল দুই দাবী PTTI-দের নিয়োগের পাশাপাশি সারা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ন্যায় পশ্চিমবঙ্গের
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো গঠনের দাবিতেও লড়াই চালাবে সংগঠনটি। এবার নিজেদের অধিকার
ছিনিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে জ্বালাময়ী বিক্ষোভ চলতে থাকবে বলে সংগঠনের
রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গতঃ এর আগেও একাধিকবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সংগঠনটির। তাঁদের আন্দোলনের পর রাজ্য সরকার বঞ্চিত PTTI-দের তালিকা নিয়েছিল। এবার নতুন করে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে PTTI-দের প্রাধান্য দেওয়া হোক এমনটাই দাবী আন্দোলনকারীদের।
No comments