নিউজবাংলা ডেস্ক : জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধর করতে করতে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। ফাঁড়িতে গিয়ে আবারও ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। আর এরপরেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী পরিবারের।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রে রে করে পুলিশ ফাঁড়িতে তেড়ে যান এলাকাবাসী ও মৃতের আত্মীয়রা। এরপরেই উত্তেজিত জনতা ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সেই সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ আধিকারীক ও কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে বলে দাবী পুলিশের।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার থানার মিল্কি এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম আইনুল খান (৫০)। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, রবিবার রাতে মিল্কি এলাকায় জুয়ার আসর বসার অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের দল সেখানে ছুটে যায়।
সেই সময় জুয়ার আসরে থাকা ব্যক্তিরা ছুটে পালালেও ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা আইনুল খানকে এক সিভিক পাকড়াও করে। ঘটনার প্রতিবাদ করতেই মারতে মারতে সিভিকেরা তাঁকে মিল্কি ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও পুনরায় ধোলাই দেওয়া হয় আইনুলকে।
এর জেরেই ফাঁড়িতেই আইনুলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত এলাকাবাসীরা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। তাঁদের মারে মাথা ফেটেছে ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারীক সোমনাথ অধিকারীর। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে যাদের মারে আইনুল খানের মৃত্যু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে খবর। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে যাদের মারে আইনুল খানের মৃত্যু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে খবর। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
No comments