পার্থ খাঁড়া, নিউজবাংলা ডেস্ক : রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে লালগড়। লাল মাটির রুক্ষতা সরে গিয়ে আজ সবুজের হাতছানি। সবুজ বনানীতে আর নেই বারুদের গন্ধ। নেই সন্ত্রাসের ভয়াবহতা। নেই ভারী বেয়নেটের আওয়াজ, যৌথ বা…
পার্থ খাঁড়া, নিউজবাংলা ডেস্ক : রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে লালগড়। লাল মাটির রুক্ষতা সরে গিয়ে আজ সবুজের হাতছানি। সবুজ বনানীতে আর নেই বারুদের গন্ধ। নেই সন্ত্রাসের ভয়াবহতা। নেই ভারী বেয়নেটের আওয়াজ, যৌথ বাহিনীর বুটের শব্দ।
এখন যৌথবাহিনী সমাজের বন্ধু হয়েছে। তাই লালগড়ে এখন শিউলি ফুলের গন্ধ পাওয়া যায়।তাই উমা এবার নিশ্চিন্তে স্বপরিবারে হাজির হয়েছে লালগড়ে। চারিদিকেই শুধু মায়ের আরাধনা।
এই কয়েকটা দিন লালগড়বাসী মেতে উঠেছে বিভিন্ন মনোরঞ্জনের মাধ্যমে। লালগড় সার্বজনীন দূর্গোৎসব এবার ৬৯ বছরে পা দিয়েছে। পরিবর্তনের আগে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লালগড় বাসী মেতে উঠেছে মাতৃ আরাধনায়।
আজ নবমী তিথিতে লালগড়ের প্রায় সাত আটটি গ্ৰামের সমাজের সর্বস্তরের ১৫ হাজার মানুষ অন্নপূর্ণার ভোগ গ্ৰহন করেন এই মন্ডপে। ছোট থেকে বড় সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে এই উৎসবের আয়োজন করতে। শুধু অনুষ্ঠান নয় এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামাজিক বার্তাপ পাঠানো হয়।
যেমন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের বিবাহ দিলে কি ক্ষতি হয়, মেয়েদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করা, ডাইনী প্রথার বিরুদ্ধে প্রচার, চাই স্বাস্থ্য, চাই শিক্ষা, জল অপচয় বন্ধ করে আর ও বেশি করে গাছ লাগানো, অরন্যকে বাঁচিয়ে রাখার এই স্লোগানগুলো নিয়েই এবারের পূজার আয়োজন।
লালগড়ে আর যেন আর ফিরে না আসে পুরনো কালো দিন গুলো। সমাজ জীবনে ফিরে আসুক সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি। জানিয়েছেন পূজো কমিটির উদ্যোক্তা বনবিহারী রায় ও সৌরভ রায়, দীনেশ দাস সহ অন্যান্য গ্ৰামবাসীবৃন্দরা।
No comments